আজকের সময়ে ডিভোর্স একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে,তার অনেক রকম কারণ আছে যেমন ব্যাক্তিগত কারন , সামাজিক কারণ, বা ধরুন ছেলে মেয়ের অমতে বিয়ে। তবে এই ডিভোর্স অনেক সাভাবিক হয়ে যায়, যদি সেই দম্পত্তির কবি সন্তান না থাকে।
আর যদি তাদের কোনো সন্তান থাকে, তাহলে বাবা না মা কার কাছে থাকবে সন্তান সেই বিষয় নিয়ে সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দাড়ায়। কিন্তু বাচ্চা তো দুজনকেই চায়,তবুও এইরকম পরিস্থিতিতে যেকোনো একজনকেই বেছে নিতে হয় ,বাবা না হয় মা।
জানুন হিন্দু আইন অনুযায়ী সন্তানের অধিকার:
হিন্দু বিবাহ অধিনীম 1955,ধরা ২৬ অনুসারে,হিন্দু ধর্ম পালন করা মা বাবা দুজনেই নিয়ে থাকে সন্তানকে রাখার সিদ্ধান্ত। এই নিয়মে আদালত ঘোষণা করেছে, কার কাছে থাকতে চায় বাচ্চাটি তার ইচ্ছা অনুসারে। বাবার কাছে না মেয়র কাছে! সেই অনুযায়ী বাচ্চাকে রাখার নিয়ম জারি করা আছে আধিনীম 1954,ধরা 38 এ।
তবে সন্তানের অধিকার নিয়ে কোনো রকম শক্তি প্রকাশ করা হয়নি অধিনিয়ম 1869 ধরা 144 বিবাহ বিচ্ছেদ বিষয়ে। তাছাড়া এই বিষয় নিয়ে সেই উকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত যেই উকিল এই বিষয়ে অভিজ্ঞ।
জানুন মুসলিম আইন অনুযায়ী সন্তানের অধিকা:
সন্তানের অধিকারের সম্পর্কে এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি মাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সন্তানের পুরো দায়িত্ব বাবার উপর তখনই যায় যখন বিবেচনা করে দেখা হয় যে সেই সন্তানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সেই মা অনুপযুক্ত।
জানুন ইসাই আইন অনুসারে সন্তানের অধিকার:
সন্তানের অধিকার সম্পর্কে আইন সব ধর্মের উপর জারি করা আছে অধীনিয়াম 1869 দ্বারা। এক্ষেত্রে বাবার উপরেই বেশিরভাগ দায়িত্ব প্রযোজ্য করা হয় সন্তানের পড়াশোনা, দেখভাল দায়িত্ব পালন করার জন্য।
ভৌতিক অধিকার ও আইন অধিকারের মধ্যে সুস্পষ্ট ভেদাভেদ রয়েছে কিছু কিছু দেশে, অর্থাৎ যখন কোন বাচ্চা আপনার সাথে মানসিকভাবে বা শারীরিকভাবে এবং মায়ার বন্ধনে থাকতে চাইবে সেক্ষেত্রে বলতে পারেন শারীরিক অভি রক্ষা। বাচ্চাটি কার অধিকার থাকবে সেই সিদ্ধান্তটি যদি আইন নিয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে সেই বাচ্চার দেখভাল তার চিকিৎসা বা শিক্ষার ব্যবস্থা আর অন্যান্য যে কোন জিনিসপত্রগুলি স্বাভাবিকভাবে একটা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন হয় সেগুলিকেই মেইনটেইন করা। তবে কোন রকম ভেদাভেদ নেই ভারতে আইন আর শারীরিক অভিরক্ষার মধ্যে।
0 Comments